আজ সোমবার, ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাংবাদিক সুবর্ণা হত্যার প্রতিবাদে পাবনায় সাংবাদিকদের মানববন্ধন

পাবনায় সাংবাদিকদের মানববন্ধন

পাবনায় সাংবাদিকদের মানববন্ধন

নবকুমার :

পাবনায় আনন্দ টিভির সাংবাদিক সুবর্ণা আক্তার নদীকে হত্যার প্রতিবাদে  হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে পাবনা শহরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষ।

পাবনায় নিজ বাসার সামনে ছুরিকাঘাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার নারী সাংবাদিক সুবর্ণা আক্তার নদী হত্যাকারীদের নাম বলে গেছেন। মৃত্যুর আগেই মা ও মেয়েকে হামলাকারীদের নাম বলেন তিনি।সাবেক স্বামী রাজীব ও রাজীবের সহকারী মিলনসহ কয়েকজন তাকে কুপিয়েছেন বলে হাসপাতালে জানান নদী।

বুধবার সকালে নদীর মা মর্জিনা বেগম বলেন, মেয়ে মৃত্যুর আগে হাসপাতালে হামলাকারীদের নাম আমাদের জানিয়েছে। রাজীব ও তার সহকারী মিলনসহ কয়েকজন তাকে কুপিয়েছে। আমার মেয়ে তাদের চিনেছিল। র‌্যাব ও পুলিশকে আমি সব তথ্য জানিয়েছি।নিহত নদীর মেয়ে জান্নাতও (৭) একই তথ্য পুলিশকে জানিয়েছে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি করবেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তে হয়েছে।

আমরা সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তবে খুব শিগগির আমরা মূল হোতাদের শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে পারব।এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বোন চম্পা জানান, আবুল হোসেনের ছেলে রাজীবের সঙ্গে তিন-চার বছর আগে বিয়ে হয়েছিল সুবর্ণার। বছরখানেক আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়।

এর পর সুবর্ণা পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে একটি যৌতুক মামলা করেন। এ মামলায় সুবর্ণা তার সাবেক স্বামী রাজীব ও তার বাবা আবুল হোসেনসহ তিনজনকে আসামি করেন।

মঙ্গলবার এ মামলার সাক্ষ্য দেয়ার দিন ছিল। এতে সুবর্ণা তার পক্ষে আদালতে সাক্ষ্যও উপস্থাপন করেন। চম্পার দাবি, মামলায় ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে সুবর্ণাকে হত্যা করেছে।

পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, পাবনা পৌর সদরের রাঁধানগর মহল্লায় আদর্শ গার্লস হাইস্কুলের সামনে ভাড়া বাসায় ফেরার পথে বাসার সামনেই কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে রক্তাক্ত করে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করতে না পারলেও কয়েকটি ইস্যু নিয়ে পুলিশ মাঠে নেমেছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ পাবনার ইদ্রাল ইউনানি কোম্পানি ও শিমলা ডায়াগনস্টিকের মালিক আবুল হোসেনকে আটক করেছে। পুলিশের দাবি, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আবুল হোসেন সুবর্ণার সাবেক শ্বশুর।

সুবর্ণা নদী আনন্দ টিভির পাশাপাশি অনলাইন পোর্টাল দৈনিক জাগ্রতবাংলার সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন। রাজীবের সঙ্গে বিয়ের আগেও তার আরেকটি বিয়ে হয়েছিল। মেয়ে জান্নাত সেই ঘরেরই।

সুবর্ণা নদী জেলার আটঘরিয়া উপজেলার একদন্ত গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর মেয়ে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ